- B.A.SR.M (FAZIL)
- Bengali
- Books
- English
- Exam Result
- General Topics
- Geography
- History
- Holiday
- Islamic history
- Math
- Political science
- Theology
- প্রবন্ধ ও রচনা
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ (যেকোন তিনটি)।
১.১ পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহ হল (হুবার্ড / ল্যাম্বার্ট / মালাসপিনা / বলটারো)।
১.২ ক্ষয়, সঞ্চয় ও বহনের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষিত হওয়ার প্রক্রিয়া হল (আবহবিকার / ক্ষয়ীভবন / পুঞ্জিত ক্ষয় / নগ্নীভবন)।
১.৩ মিজোরাম রাজ্যের রাজধানীর নাম (আইজল / শিলং / কোহিমা / ইটানগর)।
১.৪ পৃথিবীর বেশীরভাগ অঞ্চলে ক্রিয়াশীল বহির্জাত শক্তি হল (হিমবাহ / নদী / ভৌমজল / সমুদ্র তরঙ্গ)।
২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পুরণ কর (যেকোন তিনটি)।
২.১ নীলকণ্ঠ একটি উদাহরণ।
উত্তর: নীলকণ্ঠ একটি পিরামিড চূড়া বা হর্ন এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরন।
২.২ ভারতের উত্তরতম বিন্দু হল।
উত্তর: ভারতের উত্তরতম বিন্দু হল ইন্দিরা কল।
২.৩ মোহনায় প্রচুর পলি জমা হলে তৈরি হয়।
উত্তর: মোহনায় প্রচুর পলি জমা হলে পলল তৈরি হয়।
২.৪ পর্বতগাত্রে আলগা তুষার কণাগুলিক বলে।
উত্তর: আলগা তুষার কণাগুলিক রবতগাত্রে বলা হয়।
৩. নিম্নলিখিত বাক্যগুলির মধ্যে যেটি ঠিক তার পাশে সত্য এবং যেটি ভুল তার পাশে ‘মিথ্যা’ লেখো (যেকোন তিনটি)।
৩. ১ নিক্ বিন্দুতে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।
উত্তর: ঠিক (সত্য),
৩.২ ক্ষেত্রমানে ভারতের বৃহত্তম রাজ্য গুজরাট।
উত্তর: মিথ্যা,
৩.৩ মধ্যগতিতে নদীর অবতল পাড়ে ক্ষয়কাজ দেখা যায় ।
উত্তর: মিথ্যা,
৩.৪ সিফ্ বালিয়াড়ি তির্যক বালিয়াড়ির উদাহরণ।
উত্তর: ঠিক (সত্য),
৪. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও (যেকোন তিনটি)।
৪.১ ঝুলন্ত উপত্যকা কি ?
উত্তর: ঝুলন্ত উপত্যকা হল এমন একটি উপত্যকা যা প্রধান নদীর সঙ্গে যেমন ছোট ছোট উপনদী এসে মেশে থাকে এবং হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত হয়। এই উপত্যকা থেকে হিমবাহ সরে গেলে এর প্রান্তভাগে গভীর খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয়।
৪.২. বায়ুর কাজ মরুভূমি অঞ্চলে বেশী দেখা যায় কেন ?
উত্তর: মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজ সর্বাধিক লক্ষ্য করা যায়। এর কারণগুলি হল-
(১) যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রাবল্য: যান্ত্রিক আবহবিকারে শিলা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে অবশেষে বালি কণায় পরিণত হয়। বায়ু ক্র্যাকার্যের প্রধান উপাদান বালি ।
(২) বৃষ্টির অভাব: সৃষ্টি এখানে প্রায় হয় না। বালির সর্বদা আলগা ও শিথিল থাকে, যা সহজেই বায়ু উড়িয়ে নিয়ে যায়।
(৩) গাছপালার অভাব: বৃষ্টির অভাবে গাছপালা প্রায় নেই বলেই বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হতে পারে।
৪.৩ পর্যায়ন কাকে বলে ?
উত্তর: নদী, হিমবাহ, বায়ু, সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি ভূ-পৃষ্ঠে ভূমিরূপ তৈরি করার জন্য মনা, পরিবহন ও সঞ্চয়কালের মধ্যে সামঞ্জস্যরক্ষা করে, একে পর্যায়ন বলে।
8.8 Mushroom Landform কোন ভূমিরূপকে বলে এবং কেন ?
উত্তর: Mushroom Landform হল একটি ভূমিরূপ যা প্রাকৃতিকভাবে একটি মাশরুমের মতো আকৃতি ধারণ করে। এই ভূমিরূপ বিভিন্ন উপাদানের সমস্ত পরিবর্তন নির্দেশ করে এবং একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ের সীমা নির্ধারণ করে। একটি পর্যায়ের সীমা নির্ধারণ করার জন্য বিভিন্ন পরিমাপ উপকরণ ব্যবহার করা হয়। Mushroom Landform এর আকৃতি প্রকৃতির বিভিন্ন কারণে এমন হয়, যেমন বাতাস এবং পানির প্রভাবে। এই ভূমিরূপ সাধারণত এলোয়েলিয়ান ভূমিরূপের একটি হিসাবে পরিচিত।
৫. যেকোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।
৫.১ হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির আলোচনা কর।
উত্তর: হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি নিম্নরূপ:
হিমদ্রোণী: হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত একটি ভূমিরূপ যা পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে সঞ্চয়ের ফলে গঠিত ভূমিরূপ: হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
পাথর ও নুড়ি ভূমিরূপ: হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে পাথর এবং নুড়ি ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
হিমবাহ ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ: হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট হওয়া ভূমিরূপ সমূহ এলোয়েলিয়ান ভূমিরূপ এবং হিমদ্রোণী ভূমিরূপ।
উপরে উল্লেখিত ভূমিরূপগুলি হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হয়। এগুলি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট হয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত পাওয়া যায়।
৫.২ নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দাও।
উত্তর: নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হল:
গিরিখাত: নদীর উচ্চগতিতে ঢাল বেশি হলে গভীর ও সংকীর্ণ একটি ভূমিরূপ যা গিরিখাত নামে পরিচিত।
উপত্যকা: নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হওয়া ভূমিরূপ যা উপত্যকা নামে পরিচিত। এই ভূমিরূপ সাধারণত নদীর তীরে সৃষ্টি হয়।
পাথর ও নুড়ি ভূমিরূপ: নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে পাথর এবং নুড়ি ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে সঞ্চয়ের ফলে গঠিত ভূমিরূপ: নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। এগুলি হল গিরিখাত, ইংরেজি ‘V’ আকৃতির ভূমিরূপ, এলোয়েলিয়ান ভূমিরূপ এবং হিমদ্রোণী ভূমিরূপ।
উপরে উল্লেখিত ভূমিরূপগুলি নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হয়। এগুলি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট হয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত পাওয়া যায়।