গারো পাহাড়ের নীচে : সুভাষ মুখোপাধ্যায়, bnginfo.com
‘গারো পাহাড়ের নীচে’ সুভাষ মুখোপাধ্যায়

গারো পাহাড়ের নীচে : সুভাষ মুখোপাধ্যায়, bnginfo.com

Class 12 Bangla: Wbbme And Wbchse 2017,2018,2019,2020 Board Exam Important Questions With Answers.

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমার বাংলা’ প্রথম পর্যায়ের রচনা “গারো হাজং এর দেশে” রংমশাল পত্রিকার ১৩৫৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখে প্রকাশিত হয়। সংকলনের প্রথম রচনায় গারো পাহাড়ের নীচে সুসং পরগনায় বাস করে হাজং, গারো, কোচ, বানাই, ডালু, মার্গান প্রভৃতি নানা সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবনযাত্রার নিখুঁত বর্ণনা পাওয়া যায়।

দ্বাদশ শ্রেণী: গারো পাহাড়ের নীচে – বিশ্লেষণধর্মী, বর্ণনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী [প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫]

‘গারো পাহাড়ের নীচে’ প্রবন্ধে গারো পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাত্রার যে পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করো। [2019]

‘গারো পাহাড়ের নীচে’ রচনাংশে সুভাষ মুখোপাধ্যায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাত্রার এক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। এ অঞ্চলটির নাম সুসং পরগনা।

সুসং পরগনার গা দিয়ে বয়ে গেছে সোমেশ্বরী নদী। এখানে হাজং-গারো-কোচ-বানাই-ডালু-মার্গান ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের উপজাতি মানুষদের বাস। গারোদের ভাষা আলাদা। তারা মাচার ওপর ঘর বাঁধে। বুনো জন্তুদের ভয়ে পোষা হাঁস-মুরগিদের নিয়ে মাচাতেই থাকে। হাজং-ডালুদের ভাষা বাংলা হলেও তাদের উচ্চারণ একটু আলাদা। চাষাবাদে হাজংরাই সবচেয়ে পটু।

ফসল কাটার সময় স্ত্রী-পুরুষ সকলে কাস্তে নিয়ে মাঠে যায়। পিঠে আঁটি-বাঁধা ধান নিয়ে ছোটো ছেলের দল খামার এসে জোটে। কিন্তু জমিদারের পাইক-বরকন্দাজরা এসে ফসলের বেশিরভাগটাই আত্মসাৎ করে। আগে ‘হাতি-বেগার’-এর নামে জমিদারের হাতি শিকারের সময় জঙ্গল ঘিরে সকলকে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এভাবে বাঘ কিংবা সাপের মুখে পড়ে অনেক ছেলে-বুড়োর প্রাণ গেছে। পরে প্রজাবিদ্রোহের ফলে এ আইন বাতিল হয়ে যায়। এককালের এখানকার মানুষদের অবস্থা স্বচ্ছাল থাকলেও ইদানিং তাদের দুর্দশা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

“গারো পাহাড়ের নীচে” রচনা অনুসরণে সেখানে যারা বসবাস করে, তাদের জীবনযাত্রার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। [2017]

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আমার বাংলা গ্রন্থের ‘গারো পাহাড়ের নীচে’ রচনায় সেখানকার মানুষদের জীবনযাত্রার এক স্পষ্ট ও নিখুঁত বর্ণনা পাওয়া যায়।

গারো পাহাড়ের নীচের সুসং পরগনায় বাস করে হাজং -গারো-কোচ-বানাই-ডালু-মার্গান প্রভৃতি নানা সম্প্রদায়ের মানুষ। এখানকার প্রথম বাসিন্দা হাজংরা ছিল চাষবাসে খুব দক্ষ। তাই গারোরা এদের নাম দিয়েছিল হাজং অর্থাৎ, চাষের পোকা। গারোদের ঘরগুলো ছিল মাচা করে বাঁধা তার ওপরেই খাওয়া-শোওয়া-রান্নাবান্না-হাঁসমুরগির থাকার ব্যবস্থা।

চাষের সময় গারো পাহাড়ের নীচে দিগন্তজোড়া ধানের খেতে নারীপুরুষ কাস্তে হাতে ধান কাটতে ছোটো। ছোটো ছেলেরা পিঠে ধানের আঁটি বেঁধে এনে খামারে ভরে। কিন্তু পরিশ্রম করে ফলানো ফসলের বেশিভাগটাই নিয়ে চলে যায়। জমিদারের পাইক-বরকন্দাজ।

হাতি-বেগার আইনের কারণে জমিদারের হাতি শিকারের সময় জঙ্গল ঘিরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হত গ্রামের মানুষদের। তবে প্রজাবিদ্রোহের ফলে সে আইন বাতিল হলেও গ্রামবাসীদের দুর্দশা কাটেনি।

অনেক বছর আগে একসময় গারো পাহাড়ের মানুষগুলোর খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে কোনো অসুবিধাই হত না। কিন্তু দিনের পর দিন জমিদারের অত্যাচারে ও শোষণে আজ তাদের দুমুঠো ভাত কিংবা একফোঁটা দুধও চেয়েচিত্তে জোগাড় করতে হয়।

অবিভক্ত বাংলা দেশে থাকলেও বাঙালি জীবনযাত্রার সাথে গারোয়া কখনও নিজেদের মেলাতে পারেনি, আর বাঙালিরাও তাদের আপন করে নিতে পারিনি।

“শেষটায় তাকে শুধু পালা হাতে করে ঘরে ইফরতে হত। ”কাদের কেন খালি হাতে ফিরতে হতো ? কৃষকদের ওপর এই নিপীড়নের বর্ণনা দাত্ত।[2017]

সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘গারো পাহাড়ের নীচে’ রচনায় গারো পাহাড়ের অধিবাসীদের উপর জমিদারের শোষণ ও অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছেন। এই অঞ্চলে ফসলের প্রাচুর্য সত্ত্বেও সেখানকার মানুষের মনে কোনো শান্তি ছিল না।

তার কারণ ‘দুষ্ট শনি’-র মনে জমিদারের অত্যাচার তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। গারো পাহাড়ের উপত্যকার উঁচু কোনো টিলা থেকে নীচে তাকালে দেখা যেত চারদিকে কেবল ধান আর প্রত্যেকেই কাস্তে হাতে নিয়ে মাঠে যেত। পিঠে ধানের আঁটি বেঁধে ‘ছোটো ছোটো ছেলের দল’ ফিরে আসত বাড়ির খামারে। কিন্তু চাষের জমি থেকে খামারে তোলা এই ফসলের বেশিরভাগটাই তাদের ঘরে থাকত না।

জমিদারের ফসলের মরশুমে গ্রামে আলপথে লোহার খুর দেওয়া নাগরাজুতোর খটখট শব্দ দেখে ভয়ে মায়ের আঁচলে আশ্রয় নিত। খিটখিটে বুড়িরা অভিশাপ দিতে থাকত এমনকি, জমিদারের এই জুলমুকে নিয়ে গাও বাঁধত তারা। এ প্রসঙ্গে লেখক যথার্থই বলেছেন যে, “জমিদারের টঙ্ক দিতে চাষিরা ফকির হয়।”

 “গারো পাহাড়ের নীচে’ রচনা অবলম্বনে সুসং পরগনার নিসর্গ-প্রকৃতি এবং মানবপ্রকৃতির বর্ণনা দাও।

সুভাষ মখোপাধ্যায় তাঁর ‘গারো পাহাড়ের নীচে’ শীর্ষক রচনায় গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুসং পরগনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

রেললাইনল থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত এই সুসং পরগনা এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো নয়। শস্যশ্যামলা এই উপত্যকার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী। এতে শীতকালে জল খুব কম থাকে ৷ কিন্তু এই নদীর ঠান্ডা জলে এমন স্রোত থাকে যে, তাতে পা ডোবালে মনে কুমিরে দাঁত বসিয়ে যেন পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

সুসং পরগনায় হাজং, গারো, কোচ, বানাই, ডালু, মার্গান প্রভৃতি নানা উপজাতির মানুষের বাস। গারো পাহাড়তলিতে হাজংরাই সংখ্যায় বেশি। চাষাবাদে দক্ষ এই উপজাতিই এ অঞ্চলে প্রথম পা রেখেছিল। এ অঞ্চলের গারোদের বাসস্থানের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। গাছের উপর মাচা বেঁধে বাসস্থান তৈরি করে সেখানেই শোওয়া-বসা, রান্নাবান্না, খাওয়াদাওয়া করে তারা।

পোষা হাঁস-মুরগিকেও তারা বন্যজন্তুর থেকে বাঁচাতে মাচাঘরেই রাখে। এখানকার প্রতিটি উপজাতির চোখে-মুখে পাহাড়ি ছাপ থাকলেও তাদের ভাষা কিন্তু আলাদা। অবশ্য বাংলা ভাষার প্রভাবে গারো ভাষা ছাড়া অন্য ভাষাগুলির অস্তিত্ব আর বিশেষ নেই। এইসব উপজাতির মানুষের উচ্চারণে বাংলা শব্দ অনেকটাই বদলে যায়। তারা ‘ত’-কে ‘ট’-কে ‘ত’, ‘ড’-কে ‘দ’ এবং ‘দ’-কে ‘ড’ বলে। তাই তারা ‘দুধ’-কে ‘ডুড’ এবং ‘তামাক’ কে ‘টামাক’ বলে থাকে।

“যেন রাবণের চিতা—জ্বলছে তো জ্বলছেই।” –রাবণের চিতার মতো আগুন কারা, কী উদ্দেশ্যে কোথায় জ্বালিয়েছে ? এই আগুন তাদের কীভাবে সাহায্য করে থাকে ?

লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘গারো পাহাড়ের নীচে রচনায় জানিয়েছেন যে, ময়মনসিংহ থেকে চৈত্র মাসের রাত্রিবেলায় উত্তরদিকের যে আকাশটা দেখা যায়, প্রতি বছরের শেষে সেই আকাশটা একবার দপ করে জ্বলে ওঠে।

আসলে ওই আকাশটা হল অবিভক্ত বঙ্গদেশের গারো পাহাড় (বর্তমানে মেঘালয় রাজ্যের)। গারো পাহাড়ে বাস করা বিভিন্ন আদিবাসীদের চাষের জন্য লাঙল, হাল বা বলদ কিছুই নেই। তা ছাড়া পাহাড়ের ওপর থাকে শুধু গাছ আর পাথর, মাটি তো থাকে না। অথচ ফসল তাদের ফলাতেই হবে। না হলে সারাবছর তারা খাবার পাবে না। তাই ফসল ফলানোর উদ্দেশ্যে পাহাড়বাসীরা প্রতি বছর চৈত্রমাসে গারো পাহাড়ের শুকনো ঝোপঝাড়ে একদিন আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই দাবানলকেই রাবণের চিতার মতো জ্বলতে থাকে বলে উল্লেখ করেছেন।

এই দাবানল চলার সময় বনের বাঘ, হরিণ, শুয়োর, অজগর প্রভৃতি জন্তু যখন আত্মরক্ষার তাগিদে ছুটোছুটি করতে থাকে, তখন পাহাড়িরা তাদের, বিশেষত শুয়োর ও হরিণ শিকার করে মহানন্দে । এদিকে কয়েকদিনের মধ্যে এভাবেই গারো পাহাড়ের গোটা জঙ্গল সাফ হয়ে গেলে পাহাড়ের গা এবং উপত্যকায় কালো ছাই এর একটি পুরু আস্তরণ পড়ে যায়। সেই ছাই-এর মধ্যেই ফসলের বীজ ছড়ায় পাহাড়িরা। কয়েকদিনের মধ্যেই পাহাড়ের পোড়া জমিতে সবুজ রং ধরে। ক্রমে ক্রমে তামাক, ধান এবং অন্যান্য ফসলে ভরে ওঠে গারো পাহাড়।

“কিন্তু হাতি-বেগার আর চলল না।”—হাতি-বেগার আইন কী তা আলোচনা করো। তা কেন আর চলল না ?

লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘গারো পাহাড়ের নীচে’ রচনায় আমরা হাতি-বেগার আইনের বিবরণ পাই। উনিশ শতকের শেষদিকে গারো পাহাড়ে এই জমিদারি আইন চালু ছিল। গারো পাহাড়ের ওপর মাচা বেঁধে সশস্ত্র জমিদার সেখানে সেপাই-সান্ত্রি-সহ বসে থাকতেন হাতি শিকারের উদ্দেশ্যে। সেখানে যাতে তার কোনো বিপদ না ঘটে,

সে কারণেই তিনি প্রচলন করেছিলেন হাতি-বেগার আইনের। এই নিয়ম অনুসারে প্রতিটি গ্রামের ছেলে-বুড়ো-সহ প্রতিটি পুরুষ প্রজাকে সেখানে আসতে হত আর যে জঙ্গলে হাতি আছে, সেট জঙ্গলটা তাদের সার বেঁধে দাঁড়িয়ে ঘিরে ফেলতে হত। এরজন্য জমিদারের তরফ থেকে প্রজাদের কোনো কিছুই, এমনকি খাবারও দেওয়া হত না। নিজেদের খাবার-দাবার ইত্যাদি প্রজাদের নিজেদেরকেই নিয়ে আসতে হত। কিন্তু জমিদারের এতটুক অসুবিধা যাতে না হয় তার ঢালাও ব্যবস্থা থাকত। এইভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সাপের বা বাঘের কামড়ে তাদের অনেকেরই মৃত্যু হত।

জমিদারের হাতি-শিকারের শখ মেটানোর উদ্দেশ্যে তৈরি এই নৃশংস হাতি-বেগার আইন গারো পাহাড়িরা বেশিদিন সহ্য করেনি। তারা জনৈক গোরাচাঁদ মাস্টারের নেতৃত্বে এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। গারো পাহাড় সংলগ্ন প্রতিটি চাকলায় তাই ক্রমে ক্রমে মিটিং শুরু হয়। প্রতিটি কামারশালায় তৈরি হতে থাকে অস্ত্রশস্ত্র। কিন্তু এতসব প্রস্তুতি সত্ত্বেও সেই বিদ্রোহে জমিদারের সৈন্যদলের কাছে বিদ্রোহী প্রজারা পরাজিত হয়। সেই বিদ্রোহ দমন করতে পারলেও হাতি-বেগার আইন চালু রাখতে কিন্তু জমিদারেরা আর সাহস পেলেন না। গারো পাহাড়ে হাতি-বেগার এভাবেই অবলুপ্ত হয়ে গেছে।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ‘গারো পাহাড়ের নীচে’ রচনা অবলম্বনে উদ্ধৃতিটি বিশ্লেষণ করো।

লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘গারো পাহাড়ের নীে রচনায় গারো পাহাড়ের অধিবাসীদের প্রতি জমিদারের শোষণ ও অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন যে, গারো পাহাড় অঞ্চলে ফসলের সমাহার সত্ত্বেও সেখানকার মানুষের মনে কোনো শান্তি ছিল না। তার কারণ এই যে, জমিদাররূপ ‘দুষ্টু শনি’ সবসময়েই তাদের চারপাশের গলিঘুপচিতে লুকিয়ে থাকত।

গারো পাহাড়ের উপত্যকার দিকে উঁচু কোনো টিলা থেকে যদি কখনও তাকানো যায়, তা হলে নীচের দিকে দেখা যাবে। সবুজের সমারোহ। পৃথিবী যেন একটি সবুজ রঙের মলাট গায়ে দিয়ে বসে আছে। চারদিকে কেবল ধান আর ধান। প্রতি বছর ধান কাটার মরশুমে প্রতিটি পরিবারের নারী-পুরুষ-শিশু প্রত্যেকেই কাস্তে হাতে নিয়ে মাঠে যায়। পিঠে ধানের আঁটি বেঁধে ‘ছোটো ছোটো ছেলের দল’ ফিরে আসে বাড়ির খামারে। কিন্তু চাষের মাঠ। থেকে খামারে তোলা এই ফসলের সবটা তাদের ঘরে থাকে না।

জমিদারের প্রাপ্য আদায় করতে তার পাইক-বরকন্দাজরা ঠিক সময়েই চলে আসে। এসব দেখেশুনে গারো পাহাড়িরা একটা ছড়া নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে। ছড়াটির বাংলা তরজমা হল— খুব জটিল ধন্দে পড়েছি বন্ধু। ছোটোবেলা থেকে গ্রামেই বাস করছি।

প্রতি বছরই জমিতে ধান বুনে ভাবি যে, এবার আরামে বাঁচতে পারব। তাই মাঠ যখন পাকা ফসলে ভরে ওঠে, তখন ছেলে-বুড়ো সবাই মিলে মনের সুখে গান গাই। তারপর একদিন সকলে মিলে কাস্তে হাতে চলি ধান কাটতে। কিন্তু তখনই লাঠি নিয়ে পাড়াকে শান্ত করতে আসে জমিদারের পেয়াদা। খালি পেটে তাই চোখে ধাঁধা লাগছে।

ফসলের মরশুমে গ্রামের আলপথে লোহার খুর দেওয়া নাগরাজুতোর খটখট শব্দ শুনতে পায় গ্রামবাসীরা। দূর থেকে দেখা যায় মোটা করি আগা। ছোটোরা তা দেখে মায়ের আঁচলে আশ্রয় নেয়। খিটখিটে বৃদ্ধরা অভিশাপ দিতে থাকে। লেখক এ প্রসঙ্গে যথার্থই বলেছেন যে, “জমিদারের টঙ্ক দিতে দিতে চাষিরা ফকির হয়।”

Leave a Reply