ভূমিকা :
সর্বশিক্ষা অভিযানের উদ্দেশ্য :
সর্বশিক্ষা অভিযানের সূচনা :
শিশুশিক্ষা কেন্দ্র :
শিশুশিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য :
মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র :
স্কুলছুটদের জন্য ভাবনা :
উপসংহার :

ভূমিকা : সর্বশিক্ষা হল দেশের সমস্ত মানুষের জন্য শিক্ষা। নিরক্ষর মানুষকে স্বাক্ষর করার রক্ষাকবচ এটি।
আমাদের ভারতবর্ষের মতো নিরক্ষরতার দেশে স্বাক্ষরতার অভিযান চললেও আজ স্বাধীনতার ষাট বছর পরেও তা এতটুকু সাফল্য পায়নি।
আমরা সুশিক্ষিতদের দল বুঝিনি নিরক্ষরতা দেশের পক্ষে জাতির পক্ষে কতখানি ক্ষতিকর

সর্বশিক্ষা অভিযানের উদ্দেশ্য : সকলকে শিক্ষত করে তোলাই সর্বশিক্ষা অভিযানের উদ্দেশ্য।
নিরক্ষরতার অন্ধকার থেকে মুক্ত করার জন্য যে সব প্রক্রিয়া তথা প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিল ভারত সরকার তার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হচ্ছে
‘সর্বশিক্ষা অভিযান’।
সর্বশিক্ষা অভিযানের সূচনা : ‘সর্বশিক্ষা অভিযান’ সূচনা হয়। ১৯১৯ সালে ৮ই মে বিশ্ব সাক্ষরতার দিনে।
এর জন্য মডেল করা হয়েছিল বিদ্যাসাগরের বাসভূমি মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামকে।
এই জেলা থেকেই শুরু হয় এই ‘সৰ্বশিক্ষা অভিযান’। তার পর ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবাংলার নানা জেলায় জেলায়।

শিশুশিক্ষা কেন্দ্র : পাঁচ বছর থেকে নয় বছর বয়সের শিশুদের জন্য শিশুশিক্ষা কেন্দ্র খোলা হয়।
যে গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, বা বিদ্যালয়ের নিজস্ব ঘর নাই,
গাছতলাতে বা পথ প্রান্তে বসে পড়াশোনা করতে হয় তাদের জন্য গ্রামে গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বা হচ্ছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি।
শিশুশিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : শিশুশিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হল যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়নি বা শিক্ষা থেকে যারা
বঞ্চিত হচ্ছে তাদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া। তারা যাতে আবার নতুন করে পড়াশোনা করতে পারে তার সুবন্দোবস্ত করা।

মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র : সর্বশিক্ষা অভিযান প্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে ৬-১৪ বছর সকল ছেলেমেয়ের শিক্ষাকে সুনিশ্চিত করা।
এর জন্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র।
শুধু প্রাথমিক শিক্ষার মধ্যেই যাতে সর্বশিক্ষা অভিযান সীমিত না থাকে তার জন্য সরকারের তরফ থেকে
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে গ্রামে গ্রামে মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
এর জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে চুক্তি ভিত্তিক কিছু শিক্ষক – শিক্ষিকাকে।

স্কুলছুটদের জন্য ভাবনা : সমগ্র দেশজুড়ে একটি সমস্য দেখা দিচ্ছে তা হল স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি।
অনেকে স্কুল ছেড়ে বিভিন্ন ঝুঁকি মূলক কাজে যোগ দিতে বাধা হচ্ছে।
কেউ অর্থসামাজিক পরিস্থিতির স্বীকার, কেউবা স্বতস্ফূর্তভাবে পড়াশোনা ছেড়ে যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন কাজে।
তাই এই সমস্ত স্কুলছুট ছেলেমেয়েদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে স্কুলের আঙিনায়। সরকার এদের জন্য সুনিশ্চিত করেছে দুপুরের খাবার।

উপসংহার : সর্বশিক্ষা অভিযানের উদ্দেশ্য এক মহৎ উদ্দেশ্য। এই প্রক্রিয়াটিও বিজ্ঞানসম্মত এবং আধুনিক।
আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে এই অভিযান ভারতবর্ষকে নিরক্ষরতার অন্ধকার থেকে আলোর দিশা দেখাতে সক্ষম হবে।
সেই সঙ্গে সঙ্গে এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা একে আরো সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।