Indian and World Geography top c MCQ & SAQ Question and Answer for Class 8.
Topic – Earth’s interior, unstable earth, rocks, pressure and wind effects, clouds and rain, climate zones, countries around India, North America,
- পৃথিবীর অন্দরমহল :-
- অস্থিত পৃথিবী :-
- শিলা :-
- চাপবলয় ও বায়ুর প্রভাব :-
- মেঘ ও বৃষ্টি :-
- জলবায়ু অঞ্চল :-
- ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহ :-
- উত্তর আমেরিকা :-
পৃথিবীর অন্দরমহল :-
পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে কত গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে ?
উ. পৃথিবীর ব্যাসার্ধ ৬৩৭০ কিমি। তাই পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে সমপরিমাণ গর্ত খুঁড়তে হবে।
পৃথিবীর ভেতরটা সম্পর্কে মানুষ যতটা জেনেছে, সেটুকু জানল কীভাবে ?
উ. পৃথিবীর ভেতরটা সম্পর্কে জানতে মানুষকে খননকার্য করতে হয়েছে তাছাড়া পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা, দায় ও ভূমিকম্পের কম্পনের তীব্রতা। সময় বিচার করে বিজ্ঞানীরা তথ্য জানতে পারেন।
পৃথিবীর যে শক্ত পিঠটার ওপর আমরা আছি তার নীচে কী আছে ?
উ. পৃথিবীর কেন্দ্রমুখী আকর্ষণের জন্য অপেক্ষাকৃত ভারী পদার্থগুলি যেমন – লোহা, নিকেল প্রভৃতি ঘন পদার্থ মেণ্ডলে এবং লোহা, নিকেল, সিলিকা, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম গুরুমণ্ডলে থাকে।
কিন্তু কি কখনো দেখেছ পৃথিবীর ভেতরটা কেমন ?
উ. পৃথিবীর ভেতরটা পেঁয়াজের খোসা ছাড়ালে যেরকম স্তরবিন্যাস দেখা যায় সেরকম বিভিন্ন ঘনত্বের ও বৈশিষ্ট্যের স্তরে বিভক্ত।
পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা কতটা জানা সম্ভব হয়েছে ?
উ. ভূমিকম্পের ফলে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় সেই তরলের বৈশিষ্ট্য, তীব্রতা প্রভৃতি দেখে ভূ-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভতর সম্পর্কে বিভিন্ন
ধারণা পোষণ করেন। তাই বিভিন্ন তথ্য অনেকটা অনুমানের উপর নির্ভরশীল।
পৃথিবীর ভিতরটা দেখার জন্য ৬৩৭০ কিমি গর্ত খোঁড়া সম্ভব কী ?
উ. না, সম্ভব নয়।
জানা গেছে প্রতি ৩০ মি…………….সহ্য করতে হয় ?
উ. ১০৫০-১৩৬-২১ সে.।
তাপ বাড়লে পদার্থ গলে…………….কী অবস্থায় আছে ?
উ. কোথাও অর্ধতরল আবার কোথাও তরল অবস্থায় আছে।
কেন আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না ?
উ. পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আমরা যেতে পারি না কারণ প্রচন্ড উত্তাপ ও প্রবল চাপের প্রভাবে এই অংশের সমস্ত স্থিতিস্থাপক অবস্থায় রয়েছে।
পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় কেন ?
উ. পৃথিবীর জন্মের সময় খুব গরম ও বেশি ঘন পদার্থ মাধ্যাকর্ষণের টানে কেন্দ্রের দিকে চলে যায় আর হালকা পদার্থ ওপরে ভেসে ওঠে। কারণ ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্বের তুলনায় কেন্দ্রের কাছে পদার্থের গড় ঘনত্ব অনেক বেশি।
গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল প্রায় একইরকম পুরু। কিন্তু পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৮৪ শতাংশ দখল
করে আছে গুরুমণ্ডল। এটা কীভাবে বা কেন হয় ?
উ. পৃথিবীর অভ্যন্তরে যত যাওয়া যায় তত পদার্থের চাপ বাড়ে। বেশি ঘনত্ব যুক্ত পদার্থের চাপ বেশি এবং ওই পদার্থগুলি কেন্দ্রমণ্ডলে
অবস্থান করে কিন্তু বেশি ঘন পদার্থের তুলনায় আপেক্ষাকৃত কম ঘন পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকায়
এই গুরুমণ্ডলের অনেকটাই পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকে। প্রায় ২৯০০ কিমি পর্যন্ত ঘনত্ব যুক্ত স্তরই গুরুমণ্ডল।
ম্যাগনেশিয়াম আর অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে কোনটা বেশি ভারী ?
উ. অ্যালুমিনিয়াম থেকে ম্যাগনেশিয়াম বেশি ভারী। মহাসাগরের নীচে সিলিকন আর ম্যাগনেশিয়াম দিতে তৈরিস্তর হল সিসা।
এই স্তরের ঘনত্ব বেশি। অ্যালুমিনিয়াম থাকা স্তরটি সিসার চেয়ে হালকা এবং সমুদ্রের নীচে থাকে না।
কেন আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সরাসরি কোনো তথ্য পাই না ?
উ. ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবিধি লক্ষ করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন।
পদার্থগুলির মধ্যে ভূ-কম্পন প্রবাহিত হওয়ার সময় দীর্ঘ, ক্ষুদ্র, দ্রুত ও ধীর গতি সম্পন্ন হয়। ভূমিকম্পের তরণ কঠিন।
তরল যে কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কিন্তু তরঙ্গ তরল বা অর্ধতরল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না ফলে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ হয় না।
পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য লক্ষ করা যায় কেন ?
উ. পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্নস্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য দেখা যায়। অপেক্ষাকৃত ভারী পদার্থ পৃথিবীর
কেন্দ্রের দিকে জমা হয়। তুলনায় কম ভারী পদার্থ কেন্দ্রের উপরিভাগে দেখা যায়।
পৃথিবীর বাইরের আর পৃথিবীর ভিতরের সম্পর্কে তুমি জানো তোমার কোনটা বেশি পছন্দের এবং কেন ?
উ. পৃথিবীর বাইরের স্তরটা আমার বেশি পছন্দের কারণ এই স্তরের উপরই পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমস্ত কিন্তু বর্তমান।
অস্থিত পৃথিবী :-
ভূ-কম্পন তরাগুলো ভূ-পৃষ্ঠে কীভাবে প্রবাহিত হয় ?
উ. সব থেকে দ্রুত প্রাথমিক তরঙ্গ ভূ-পৃষ্ঠে প্রথম এসে পৌঁছায়। কঠিন, তরল, গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে দিয়ে
ক্রমসংকোচন ও প্রসারণ প্রক্রিয়ায় এই তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের তরঙ্গ এরপরেই ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছায়।
বস্তুকণার উপর নীচ ওঠানামার মাধ্যমে প্রবাহিত এই তরা শুধুমাত্র তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে ভূ-পৃষ্ঠ বরাবর পৃষ্ঠতরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। এই তরঙ্গ লাভ তরলা ও খালে তরঙ্গগুলির কারণেই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
অগ্ন্যুদগমের সঙ্গে পাত সীমানার কি কোনও সম্পর্ক আছে ?
উ. অগ্ন্যুাদগমের সঙ্গে পাত সীমানার সম্পর্ক আছে। অভিসারী সংঘর্ষ সীমানা বরাবর নিমজ্জিত মহাসাগরীয় পাতের কিছু অংশ গলে গিয়ে ফাটল দিয়ে অগ্ন্যুদগমের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে।
শ্রেণিকক্ষে এই পাঁচটা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করো। ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে মিলিয়ে দেখো-কোন অঞ্চলে কোন কোন বড়ো শহর বিখ্যাত স্থান রয়েছে ?
উ. (১) হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল – জন্ম কাশ্মীর, অসম।
(২) সিন্ধুগলা সমভূমি। – কলকাতা, দিল্লি।
(৩) উপদ্বীপ অঞ্চল – লাটুর জিলা।
(৪) পশ্চিম উপকূল অঞ্চল – গুজরাট।
মনে করো এই মুহূর্তে হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হল। এরকম পরিস্থিতিতে তুমি প্রথমেই কী করবে ?
উ. বাড়ির সব দরজা, জানালা বন্ধ করে ঘরের ভিতর থাকা উচিত। ঘরের মধ্যে কোন খাট বা টেবিলের তলায় ঢুকে পড়া দরকার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল থেকে বেরিয়ে কোনও খোলা স্থানে থাকা।
তুমি যেখানে বাস করো সেটা কোন ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত সেখানে কখনো ভূমিকম্প হয়েছে ?
উ. আমাদের অঞ্চলটি মাঝারি ঝুঁকি প্রবণ অঞ্চল। হ্যাঁ, একবার খুব সামান্য ভূমিকম্প হয়েছে। কোনে ক্ষতি হয়নি।
শিলা :-
শিলা আসলে কী ?
উ. ভূত্বক যেসব উপাদান দিয়ে তৈরি তাদেরই সাধারণ নাম শিলা। শিলা বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সমসত্ত্ব ও অসমসত্ত্বের মিশ্রণ।
কোনও কোনও শিলায় একাধিক খনিজ পদার্থ থাকে, আবার কোনও কোনও শিলায় কেবলমাত্র একটি খনিজ পদার্থ থাকে।
গ্রানাইট শিলা চিকচিক করে কেন ?
উ. গ্রানাইট শিলা সাধারণত স্ফটিক আকার বা কাচের মতো। এই আগ্নেয়শিলা দ্বারা গঠিত গ্রানাইটে মাইকা নিজ পদার্থ থাকে।
আমি দেখতে চক্চকে, সাদা বা কালো রঙের। আমি নরম, সহজেই পাতের মতো বেঁকে যাই। গ্রানাইট শিলার একটি মূল খনিজ আমি। বলতে পারো আমি কে ?
উ. আমি অভ্র।
রেললাইনের মাঝে থাকা শিলার নাম কী ? কেন এই ধরনের শিলা এখানে রাখা হয় ?
উ. রেল লাইনের মাঝে থাকা শিলার নাম ব্যাসল্ট। এই শিলা শক্ত ও ভারী এবং ভঙ্গুরতা যথেষ্ট কম হওয়ার তা প্রতিরোধের ক্ষমতা বেশি।
তোমার কাছে কোনো শিলা বা খনিজ থাকলে একটু উপ্ত করে দেখো- কোন্ শিলা তাড়াতাড়ি গরম এর আর কোন শিলা বেশিক্ষণ গরম থাকে ?
উ. ব্যাসল্ট শিলা খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়। রূপান্তরিত শিলা বেশিক্ষণ গরম থাকে।
পেনসিলের সিস কোন্ শিলা দিয়ে তৈরি এবং এই শিলা কী ধরনের ?
উ. পেনসিলের সিস গ্রাফাইট দিয়ে তৈরি। গ্রাফাইট একটি রূপান্তরিত শিলা।
ছোটোনাগপুর মালভূমি ছাড়া ভারতের আরেকটি মালভূমির নাম করো যা বিশেষভাবে খনিজ দ্বারা সমৃদ্ধ।
উ. দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
আমি খুব শত্রু, সূক্ষ্ম দানার কালো ধূসর রঙের শিলা। রাস্তাঘাট নির্মাণে আমার ব্যবহার হয়ে থাকে। আমার মধ্য দিয়ে জল সহজেই প্রবেশ করতে পারে।
উ. আমি ব্যাসল্ট। নিঃসারী প্রকৃতির আগ্নেয় শিলা।
আমি মসৃণ, দেখতে খুব সুন্দর। নানা রঙে আমায় পাওয়া যায়। আমি ঘরবাড়ির মেঝে তৈরির কাজে আসি। বিখ্যাত ডিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এর মতো স্থাপত্য শিল্পে আমার ব্যবহার আছে।
উ. আমি মার্বেল। একপ্রকারের রূপান্তরিত শিলা।
কোন ধরনের শিলা থেকে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করতে সুবিধা হয় এবং কেন ?
উ. পাললিক শিলা থেকে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করতে সুবিধা হয়। ভূগর্ভের প্রচণ্ড উত্তাপে প্রাণী বা উদ্ভিসের দেহাবশেষ হাইড্রোজেন ও কার্বনের
দ্রবণে পরিণত হয়ে খনিজ তেলের সৃষ্টি হয়। শুধুমাত্র সচ্ছিদ্র পাললিক শিলাস্তরেই খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।
পাললিক শিলায় কেলাস গঠন হয়না কেন ?
উ. আগ্নেয় শিলার থেকে পাললিক শিলার কাঠিন্য কম। বিভিন্ন খনিজের সাথে দৃঢ়ভাবে জলের অণু সংযুক্ত হয়ে কেলাস গঠন হয়। যা পাললিক শিলায় হয় না ফলে কেলাসে গঠন হয় না।
তোমার চারপাশে কোনো বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থানে বা স্থাপত্যকার্য থাকলে তা কোন্ কোন্ শিলার তৈরি তা জানার চেষ্টা করো।
উ. আমাদের গ্রামে গঙ্গার ধারে একটি পুরোনো মন্দির আছে। মন্দিরের মেঝে সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি। মন্দির বেলেপাথরে তৈরি। মন্দিরের মূর্তিটি ব্যাসল্ট শিলায় তৈরি।
আগ্নেয়শিলাতে জীবাশ্ম দেখা যায় না কেন ?
উ. জীবদেহ যখন পাথরে পরিণত হয় এবং শিলান্তরের ওপর তার ছাপ দেখা যায় তখন তাকে জীবাশ্ম বলে।
আগ্নেয়শিলার গঠনে ম্যাগমা ও লাভা প্রচণ্ড উত্তপ্ত অবস্থায় থাকে। সুতরাং কোনোরূপ জীবাশ্মের অস্তিত্ব থাকে না।
কিন্তু সমুদ্র বা হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে পলি সঞ্চিত হওয়ার সময় উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ ওই স্তরে চাপা পড়ে জমাট বেঁধে পরিণত হয় এবং শিলাস্তরে ছাপ পড়ে।
চাপবলয় ও বায়ুর প্রভাব :-
কর্কটীয় ও মকরীয় বলয়কে শান্ত বলয় বলার কারণ কী ?
উ. উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ২৫-৩৫° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চল কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলে
বায়ু ওপর থেকে নীচে নেমে আসে, অর্থাৎ বায়ু নিম্নগামী হয়। বাতাসের পার্শ্বপ্রবাহ খুবই কম। তাই এই অঞ্চলের বায়ু সবসময় শান্ত থাকে।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে কোন ধরনের উচ্চচাপ/নিম্নচাপ বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে ?
উ. নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে বায়ু খুব উঁচু ও হালকা হয়। ফলে বায়ুর চাপ কম হয়।
অশ্ব অক্ষাংশ পালতোলা জাহাজগুলো গতিহীন হয়ে পড়ত কেন ?
উ. নিরক্ষীয় ও মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় থেকে বিক্ষিপ্ত ও ঊর্ধ্বগামী উবায়ু শীতল ও ভারী হয়ে উত্তর । গোলার্ধে ২৫-৩৫° অক্ষাংশ সৃষ্ট ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ে নেমে আসে, ফলে এই অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুর পার্শ্বপ্রবাহ থাকে না। বাতাসের প্রভাবে পালতোলা জাহাজগুলি গতিহীন হয়ে পড়ে।
এই কারণগুলোর জন্য করুটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে কোন ধরনের বায়ুচাপ বলয় অবস্থান করে ?
উ. উচ্চচাপ বলয়।
দুই ক্রান্তীয় অঞ্চল এবং দুই মেরু অঞ্চলে বায়ুর ঘনত্ব বেশি হয় কেন ?
উ. এই অঞ্চলগুলি প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য বায়ু বেশ শীতল ও ঘনত্ব বাড়ে। ফলে বায়ুর চাপও বেশি। দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলের ঊর্ধ্বগামী বাতাসের কিছু অংশ দুই মেরুঅঞ্চলে নেমে আসে। ফলে বায়ুর চাপ ও ঘনত্ব বাড়ে।
মেরু বায়ু শীতল হয় কেন ?
উ. মেরু অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারাবছরই তির্যকভাবে পড়ে বলে বাতাস খুব শীতল ও ভারী হয়। ফলে বায়ুর চাপ বেশি হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডা অঞ্চল থেকে মেরু বায়ু প্রবাহিত হয় বলে এই বায়ু অত্যন্ত ঠান্ডা।
শীতকালীন মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি প্রায় হয় না কেন ?
উ. শীতকালীন মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে স্থলভাগ থেকে আসা শুকনো মৌসুমি বাতাসে বৃষ্টিপাত প্রায়ই হয় না।
ভেবে বলো দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশে বায়ুর কী ধরনের চাপ সৃষ্টি হয় ?
উ. পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ দুই মেরু অপেক্ষা মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় বৃত্ত অঞ্চলে বেশি। ফলে এই অঞ্চলের বায়ু চারদিকে ছিটকে যায় ও বায়ুর চাপ কম হয়।
বর্ষাকালে আমাদের রাজ্যে যে বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয় সেই বায়ু কোন দিক থেকে প্রবাহিত হয় ?
উ. দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আমাদের রাজ্যে বৃষ্টি হয়। এই বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
পৃথিবীতে কটা বায়ুচাপ বলয় আছে ? তাদের নাম কী ?
উ. পৃথিবী চারটি বায়ুচাপ বলয় আছে। নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়, কর্কটীয় ও মরুরীয় উচ্চচাপ বলয়, মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় চাপবলয় ও মেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয়।
ফেরেলের সূত্র অনুসারে দক্ষিণ গোলার্ধে মেরু বায়ু কোন দিক থেকে প্রবাহিত হয় এবং কী নামে পরিচিত ?
উ. দক্ষিণ গোলার্ধে মেরুবায়ুর উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে শীতল বাতাস কুমেরু বৃত্তের নিম্নচাপ বলয়ের দিকে চাপের সমতা রক্ষার জন্য প্রবাহিত হয়। দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হওয়ায় এর নাম দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু।
দক্ষিণ গোলার্ধে পশ্চিমাবায়ু কোনদিক থেকে প্রবাহিত হয় এবং এর নাম কী ?
উ. দক্ষিণ গোলার্ধে পশ্চিমাবায়ু বামদিকে বেঁকে পশ্চিমদিক থেকে প্রবাহিত হয়। একে প্রত্যায়ন বায়ু বলে।
দক্ষিণ গোলার্ধে পশ্চিমাবায়ুর গতিবেগ বেশি কেন ?
উ. দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি। স্থলভাগের বাধা না থাকায় প্রবল বেগে পশ্চিমাবায়ু প্রবাহিত হয়। ফলে গতিবেগ বেশি।
বিকেলের দিকে সমুদ্র বা নদীর পাড়ে বসলে কোন দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া বইবে ?
উ. বিকেলের দিকে সমুদ্র বা নদীর পাড়ে বসলে সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে ঠান্ডা হাওয়া বইবে।
ভোরবেলা পালতোলা নৌকা কোন্ বায়ুর প্রভাবে সমুদ্রে বা নদীতে চলবে ?
উ. সাময়িক বায়ু বা সমুদ্রবায়ুর প্রভাবে ভোরবেলা পালতোলা নৌকো চলবে।
কোন্ বায়ু উপকূলবর্তী অঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত ঘটায় ?
উ. গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু উপকূলবর্তী অঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত ঘটায়।
মৌসুমি বায়ুকে সাময়িক বায়ু বলার কারণ কী ?
উ. বছরের একটা নির্দিষ্ট ঋতুতে এবং দিন ও রাতের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই বায়ু প্রবাহিত হয় বলে একে সাময়িক বায়ু বলে।
হিমাচল প্রদেশের বুলু ও কাংড়া উপত্যকার মাঝের অংশের তুলনায় পর্বতের উঁচু চালে জনবসতি কিছুটা বেশি দেখা যায় কেন ?
উ. সূর্যের তাপে পার্বত্য উপত্যকার দুপাশের চালের ওপরের বায়ু যে পরিমাণ উত্তপ্ত হয়। উপত্যকার মাঝের
গ্রাশের উপরিস্থিত বায়ু ততটা উত্তপ্ত হয় না। ফলে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় এবং তাপমাত্রা কম থাকে।
পোতৃগাল, স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্সে কোন বায়ুর প্রভাবে কোন্ বৃষ্টিপাত হয়।
উ. দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে।
মেঘ ও বৃষ্টি :-
ভেবে বলো শীতল বায়ু থেকে কেন বৃষ্টিপাত হয় ?
উ. মেঘ হল ধূলিকণাকে আশ্রয় করে থাকা অসংখ্য ছোটো ছোটো জলকণার সমষ্টি। এই মেঘ ক্রমশ ওপরে উঠলে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে আরও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
সব মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না কেন ?
উ. সব মেঘের চরিত্র সমান নয়। জলীয় বাষ্প জলকণায় পরিণত হলে এবং বেশি ঘনীভূত হলে ছোটো জলকণা গুলি বড় জল কণায় পরিণত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় যা সব মেঘে দেখা যায় না।
পাশে ছবির মতো একটা কাচের প্লেট ও জারের মধ্যে খানিকটা জল নিয়ে খোলা জায়গায় রাখো। -তিন দিন বাদে জলের পরিমাণমত কী পার্থক্য দেখা যাবে এবং কেন ?
উ. প্লেটের জলের পরিমাণ কমে যাবে। আকাশের নীচে খোলা জায়গার তাপে জল কিছুটা বাষ্পীভূত হয়ে
যাবে। জারের জলের পরিমাণগত পার্থক্য হবে না।
একটা গ্লাসে কয়েক টুকরো বরফ রাখো। কিছুক্ষণ বাদে দেখবে গ্লাসের গায়ে বিন্দু বিন্দু জলুকণা দেখা যাচ্ছে বা ধরলে হাতে জল লাগছে। কারণ গ্লাসের চারপাশের বাতাস ঠাণ্ডা গ্লাসের সংস্পর্শে এসে শীতল হয়ে ওঠে এবং জলবিন্দুতে পরিণত হয়। এই ঘটনা কোন প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে ?
উ. ঘনীভবন প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে।
একটা কেটলি পাত্রে জল নিয়ে গ্যাস বা উনুনের উপর বসানোর কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে কেটলি বা পাত্রটির মুখ দিয়ে সাদা রঙের ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই ধোঁয়া আসলে কী ?
উ. এই ধোঁয়া আসলে জলীয় বাষ্প।
কোনো স্থানের আপেক্ষির আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ বলতে কী বোঝায় ?
উ. ওই স্থানের কোনো একটি নির্দিষ্ট উয়তার বায়ুতে ১০০ শতাংশ জলীয় বাষ্প আছে।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে চিরহরিৎ গাছের অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে কেন ?
উ. নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে পড়ে। জলভাগের বিস্তার বেশি হওয়ায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং বৃষ্টিপাতের ফলে পাতা ঝরা খুব কম হয় এবং চিরহরিৎ গাছের অরণ্য দেখা যায়।
শীতকালে ভোরবেলায় ঘাসের উপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটলে পা ভিজে যায় কেন ?
উ. শীতকালে ভূপৃষ্ঠ দ্রুত তাপ বিকিরণ করলে বায়ুস্তর শীতল হয়। জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলবিন্দু তৈরি করে। এগুলো শিশির তাই পা ভিজে যায়।
ভেবে বলো তো, শিশির আর কুয়াশা অধ্যক্ষেপণ নয় কেন ?
উ. কোনোটিই মাটিতে পতিত হয় না তাই অধঃক্ষেপণ হয়।
ভেবে বলো তো, আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাথে উন্নতার সম্পর্ক কীরকম ?
উ. উয়তা বাড়লে আপেক্ষিক আর্দ্রতা হ্রাস পায়। উয়তা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্পর্ক ব্যাস্তানুপাতিক।
পরিচলন বৃষ্টিপাতে কোন পদ্ধতিতে বায়ু উত্তপ্ত হয় ?
উ. বাষ্পীভবনের পরিমাণ বেশি হলে স্থল ও জলভাগের বায়ুতে প্রচুর পরিমাণে মিশে উদ্বু হালকা বাতাস ওপরে উঠে ঊর্ধ্বগামী
বায়ুর চাপ কম হওয়ায় উন্নতাও কম হয়। সেই উন্নতায় বায়ুতে জলীয় বাষ্প একই থাকায় বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেড়ে যায়।
বায়ু আরও শীতল হয়ে ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় মেঘ এবং আরও ঘনীভূত হলে বৃষ্টিপাত হওয়াই পরিচলন বৃষ্টিপাত।
চেরাপুঞ্জি ও শিলং-এর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়া সত্ত্বেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণগত তারতম্য হয় কেন ?
উ. পশ্চিম ঢালে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় খাসি পাহাড়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বাধা পাওয়া যা পূর্বটালে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এই তারতম্য দেখা যায়।
তোমার অঞ্চলে কোন ঋতুতে কী ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে সেগুলো সম্বন্ধে লেখো।
উ. গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখী। বর্ষাকালে ঘূর্ণিঝড় ও শীতে নিম্নচাপসহ বৃষ্টি।
শরৎকালে পশ্চিমবঙ্গে কোন ঘূর্ণিঝড় হয়, তার নাম কী ?
উ. শরৎকালের ঘূর্ণিঝড়ের নাম আয়লা।
মুম্বইয়ের তুলনায় পুণেতে বৃষ্টিপাত কম হয় কেন ?
উ. মুম্বই পশ্চিমঘাটে পর্বতের পশ্চিম ঢালে এবং পুণে পূর্বটালে অবস্থিত তাই।
এমন দুটো দেশের নাম করো যেখানে সারাবছর পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।
উ. ভারত ও বাংলাদেশ।
মৌসুমি বায়ুর কোন শাখার প্রভাবে চেরাপুঞ্ঝিতে বৃষ্টিপাত হয় এবং কেন ?
উ. বঙ্গোপসাগরীয় শাখার প্রভাবে।
আমাদের দেশে বর্ষাকালে সাধারণত কোন ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ?
উ. পরিচলন বৃষ্টিপাত।
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের একটি মডেল তৈরি করে প্রতিবাদ ও অনুবাত জল চিহ্নিত করো।
উ. নিজেরা করো। মৌসুমি বায়ু আসার আগে এবং শরৎকালে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।
বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বিভিন্ন জায়গায় আলাদা হয় কেন ?
উ. উচ্চতা বেশি হলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হয়। উন্নতা কম হলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হয়।
জলবায়ু অঞ্চল :-
লক্ষ করে দেখো তোমার অঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রার পরিবেশ এবং জলবায়ুর কি প্রভাব আছে ?
উ. হ্যাঁ, প্রভাব আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জলবায়ুর অঞ্চলের বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ।
মানুষের জীবনযাত্রার তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য দেখা যায়। নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিতে বেশি হওয়ার জন্য নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের কোথায় কোথায় ক্রান্তীয় চিরসবুজ এবং পর্ণমোচী অরণ্য দেখা যায় ?
উ. পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম অংশ, তরাই অঞ্চল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ প্রভৃতি অঞ্চলে ক্রান্তীয় চিরসবুজ অরণ্য দেখা যায়। হিমালয়ের পাদদেশে তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল,
ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চল, আসাম সমভূমি, মধ্য ও নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমি, উড়িষ্যার মালভূমি ও উপকূল অঞ্চল, দাক্ষিণাত্যের মালভূমির বিভিন্ন অংশে পর্ণমোচী অরণ্য দেখা যায়।
সূর্যের উত্তরায়ণ-দক্ষিণায়নের সঙ্গে চাপ বলয়গুলোর স্থান পরিবর্তনের সঙ্গে এই ব্যাপারটার কোনও সম্পর্ক আছে ?
উ. গ্রীষ্মকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয় থাকে। ফলে শুষ্ক আয়ন বায়ু স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয় আবার শীতকালে এই অঞ্চল থেকে উচ্চচাপ বলয় সরে গেলে জলীয় বাষ্প পূর্ণ পশ্চিমাবায়ু প্রবাহিত হয়।
শীত, গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের উন্নতা ও বায়ুচাপের তারতম্যের সঙ্গে মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তির কি কোনও সম্পর্ক আছে ?
উ. শীত, গ্রীষ্মে বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ থাকায় জলভাগের তুলনায় স্থলভাগ দ্রুত উদ্বু হয় এবং দ্রুত
উপবিকিরণ করে ঠান্ডা হয়। অত্যাধিক উন্নতার কারণে স্থলভাগের উপর নিম্নচাপ তৈরি হয়।
শরৎকালে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়া ধীরে ধীরে শীতকালীন অবস্থার দিকে পরিবর্তিত হয়। ফলে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়।
চারটে বিশেষ নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও আর্থ সামাজিক পরিবেশের কার্যকারণ সম্পর্ক সম্পন্ধে তোমার বিশেষণ ফেলো।
উ. এই অঞ্চলে সারাবছর উয় গ্রীষ্মকাল থাকে। দিনের বেলায় উদ্বুতা প্রবল, রাতে উন্নতা কম। উরু আর্দ্র বাতাস শীতল ও ঘণীভূত হয়ে পরিচলন প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিপাত হয়। উরু আর্দ্র অস্বাস্থ্যকর
বিপদসংকুল বন্য পরিবেশে জনবসতি খুব কম। বনের ফলমূল বনজসম্পদ সংগ্রহ ও পশুশিকার অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা।
মৌসুমি অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তনে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়। উরু আর্দ্র গ্রীষ্মকাল, শুষ্ক শীতকাল এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য। মৌসুমি বৃষ্টি খুবই অনিশ্চিত,
ফলে খরা ও বন্যার প্রবণতা থাকে। এই অঞ্চলের অনুকূল জলবায়, উর্বর মাটির জন্য কৃষিকাজে অত্যন্ত উপযুক্ত।
এই অঞ্চল খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। পরিবহণ ও রাস্তাঘাটের উন্নতির ফলে এই অঞ্চল সর্বাধিক জনবহুল। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল নাতিশীতোয় অঞ্চল। শুষ্ক গ্রীষ্মকাল ও শীতকালীন বৃষ্টিপাত এই জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য।
এই অঞ্চলে চিরসবুজ এবং গুল্মজাতীয় গাছের মিশ্র বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান উৎপাদিত ফসল গম।
ঝলমলে মনোরম আবহাওয়ায় এই অঞ্চলে প্রচুর মূল্যবান ফল হয়। ফলের চাষ ও ফলভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প। রপ্তানি ব্যাবসাবাণিজ্য প্রধান জীবিকা।
তৃম্রা জলবায়ু অঞ্চলে স্বল্পস্থায়ী শীতল গ্রীষ্মকাল ও দীর্ঘস্থায়ী হিমশীতল শীতকাল। বছরের অধিকাংশ সময়ই শীতকাল।
ভয়ংকর শীতে সমস্ত অঞ্চল বরফে ঢেকে যায়। ফলে এই জলবায়ু প্রচণ্ড জনবিরল ও আর্থসামাজিক পরিবেশের উন্নতির বিপরীত দিক।
কোন্ জলবায়ু অঞ্চল আর্থ-সামাজিক দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে আর কোন্ জলবায়ু অঞ্চল সব থেকে
পিছিয়ে চলে তোমার মনে হয় ?
উ. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল কৃষি শিল্পে উন্নত। সম্পদ আহরনে সুবিধা ও পরিবহণের সুবিধা আছে।
ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহ :-
ভারতের প্রতিবেশী দেশের সংখ্যা করি ?
উ. ভারতের প্রতিবেশী দেশের সংখ্যা আটটি।
কোন প্রতিবেশী দেশের তিনদিক ঘিরে রেয়েছে ভারতের সীমানা ?
উ. বাংলাদেশের তিনদিক ঘিরে রেয়েছে ভারতের সীমানা।
এমন দুটি দেশের নাম করো যাদের সমুদ্র বন্দর নেই।
উ. নেপাল ও ভুটান দেশের কোনও সমুদ্র বন্দর নেই।
ভারত ও শ্রীলঙ্কা কোন প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন ?
উ. ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে পন্ত্রণালী দ্বারা শ্রীলঙ্কা বিচ্ছিন্ন।
প্রতিবেশী দেশগুলো কোনটি ভারতের কোন দিকে আছে ?
উ. ভারতের উত্তরে নেপাল, ভুটান। পূর্বে বাংলাদেশ ও মায়ানমার। দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা আর পশ্চিমে পাকিস্তান।
কোন্ কোন্ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে ?
উ. পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও মায়ানমার প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে।
সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত ভারতের দুটি প্রতিবেশী দেশের নাম করো।
উ. সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত ভারতের দুটি প্রতিবেশী দেশের নাম নেপাল ও ভুটান।
আরবসাগরকে স্পর্শ করে রয়েছে এমন একটি প্রতিবেশী দেশের নাম করো।
উ. আরবসাগরকে স্পর্শ করে রয়েছে পাকিস্তান।
কলকাতা বন্দরের উপর কোন দুটি প্রতিবেশী দেশ বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য নির্ভরশীল ?
উ. কলকাতা বন্দরের উপর বাংলাদেশ ও মায়ানমার বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য নির্ভরশীল।
ভারত তার কোন্ কোন্ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ জলপথে বাণিজ্য করে ?
উ. বাংলাদেশ, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পূর্ণ জলপথে ভারত বাণিজ্য করে। পাকিস্তানের সঙ্গে জলপথে বাণিজ্যের সম্পর্ক ভালো নয়।
আমাদের রাজ্য পশ্চিবলা কোন্ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে অবস্থিত ?
উ. আমাদের রাজ্য পশ্চিবঙ্গা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে অবস্থিত।
ভারতের এমন দুটি রাজ্যের নাম করো যা তিনটি প্রতিবেশী দেশের সীমান্তকে স্পর্শ করে আছে।
উ. পশ্চিমবলা রাজ্যটি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান প্রতিবেশী দেশের সীমান্তকে স্পর্শ করে আছে। সিকিম।
রাজ্যটি নেপাল, ভুটান ও চিন প্রতিবেশী দেশের সীমান্তকে স্পর্শ করে আছে।
উত্তর আমেরিকা :-
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের জলবায়ুর উপর অক্ষাংশের প্রভাব নিয়ে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করো।
উ. উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশই ৩০%-৬০° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত হওয়া মহাদেশটির অধিকাংশই নাতিশীতোর জলবায়ুর অন্তর্গত।
দক্ষিণে মেক্সিকোর উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত হওয়ায় মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ক্রান্তীয় জলবায়ু দেখা যায়।
আবার মহাদেশটির উত্তরাংশ সুমেরু বৃত্তের মধ্যে পড়ায় এই অঞ্চলে তুলা ও শীতল মেরু জলবায়ু দেখা যায়।
সমুদ্রস্রোেত কোথাও শীতল আবার কোথাও উঠু হয় কেন ?
উ. শীতল লারাডার স্রোতের প্রভাবে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব উপকূলভাগ বছরের বেশিরভাগ সময় বরফাবৃত থাকে।
আবার শীতল ক্যালিফোর্নিয়া স্রোতের প্রভাবে মহাদেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলভাগ বেশ ঠান্ডা থাকে।
মহাদেশটির দক্ষিণ-পূর্বে প্রবাহিত উয় উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে ওই অঞ্চলের উপকূলভাগের জলবায়ু উয় থাকে।
ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর জল বরফে পরিণত হয়ে যায় কেন ?
উ. মহাদেশটির পূর্বদিকে আপালেশিয়ান পার্বত্য অঞ্চল এবং পশ্চিমদিকে কর্ডিলেরা উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত
হওয়ায় মধ্যভাগে সমুদ্রের প্রভাব খুব কম। এছাড়া মহাদেশটির উত্তর দিক থেকে হিমশীতল মেরুবায়ু প্রবেশ করে বিনা বাধায় বহুদুর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। ফলে মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর জল বরফে পরিণত হয়ে যায়।
হ্রদ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে খনিজ সম্পদের অবদান কী ?
উ. হল অঞ্চল খনিজ সম্পদে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমাণে আকরিক লোহা,
তামা, খনিজ তেল, লবণ, চুনাপাথর, জিপসাম, সিসা, দস্তা, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়। হ্রদ অঞ্চলের সর্বশ্রেষ্ঠ খনিজ
সম্পদ হল আকরিক লোহা, সমগ্র আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ শতাংশ (প্রায়) আকরিক লোহা হ্রদ অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত উইসকনসিন, মিনেসোটা, মিচিগান রাজ্য থেকে উত্তোলন করা হয়।
এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য আকরিক লোহার খনিগুলি হল – মেসাবি, ভারমিলিয়ান, কুইনা, গোজেবিক, মারকোয়েট, মিনোমিনি, প্রভৃতি।
ইন্জিনা, ইলিনয় ও উচ্চ পেনসিলভেনিয়া থেকে উচ্চমানের অ্যানগ্লাসাইট কয়লা পাওয়া যায়। হ্রদ অঞ্চলের সুপিরিয়র হ্রদের তীরবর্তী কুইনা উপদ্বীপ থেকে তামা পাওয়া যায়।
লিমা-ইন্ডিয়ানা, ইলিনয়, মিচিগান থেকে খনিজ তেল এবং ওহিও, মিচিগান থেকে খনিজ লবণ প্রভৃতি উত্তোলন হয়।
এই ভাবেই হ্রদ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে খনিজ সম্পদের অবদান অতুলনীয়।
মানচিত্র দেখে এই মহাদেশের সমভাবাপন্ন ও চরম প্রকৃতির জলবায়ুযুক্ত শহরগুলির নামের তালিকা তৈরি করো।
উ. সমভাবাপন্ন অলবায়ু–শিকাগো, ভূরুখ, ডেট্রয়েট, নিউইয়র্ক।
শীতকালে উত্তর আমেরিকার উত্তরের নদীগুলো নৌপরিবহণ যোগ্য নয় কেন ?
উ. শীতল পাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব উপকূলভাগ বছরের বেশিরভাগ সময়ে বরফাবৃত থাকে।
তবে শীতকাল উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকের নদীগুলির জলও বরফে পরিণত হয়। তাই এই নদীগুলো নৌ পরিবহণযোগ্য নয়।
হ্রদলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিবহণ ব্যবস্থার ভূমিকা লেখো।
উ. এই খাল পরিবহনে যথেষ্ট উন্নত। এই অঞ্চলের সেন্ট লরেল জলপথ পরিবহনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । জলপথ ।
এই নদীতে সেন্ট মেরি, ওয়েল্যান্ড, সেন্ট লরেন্স-সি. ওয়ে ক্যানেল নামের প্রচুর খাল কেটে এই নদীকে সুনাব্য করা হয়েছে।
জল পরিবহণ সহজ হয়েছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উন্নতি সাধন করায় এই নদীর জলপথকে |
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জীবনরেখা বলা হয়। মিচিগান হ্রদের তীরে অবস্থিত চিকাগো আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রেল জংশন পৃথিবীর সবচেয়ে কর্মব্যস্ত বিমানবন্দর।
ভারতে কোথায় এরকম পশুপালন ও তা থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সহাবস্থান ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করো।
উ. পাঞ্জাব ও গুজরাট।
হ্রদ অঞ্চল পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোয়ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে কীভাবে ?
উ. এই অঞ্চলের শিল্পোন্নতির কারণগুলি হল।
(ক) খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য। এখানে প্রচুর লোহা আকরিক, ক্যালা, পটাশ, ফসফেট, খনিজ লবণ পাওয়া যায়।
(খ) শক্তি সম্পদের প্রাচুর্য: উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা: সেন্ট লরেন্স আটলান্টিক জলপথ, সড়কপথ, রেলপথ এখানে বিয়োন্নতিতে সাহায্য করেছে।
(গ) শক্তি সম্পদের প্রাচুর্য: কয়লা ও খনিজ তেল থেকে তাপবিদ্যুৎ ও বিভিন্ন জলপ্রপাত থেকে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
(ঘ) ঘন জনবসতি: ঘন জনবসতির ফলে শিল্পের জন্যে প্রচুর দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক পাওয়া যায়।
(ঙ) হ্রদের জল: শিল্পের জন্য পঞ্চগুদের জল ব্যবহৃত হয়।
(চ) কৃষিজ সম্পদের প্রাচুর্য: কৃষিভিত্তিক শিল্পে প্রচুর কৃষিজ কাঁচামাল পাওয়া যায়।
(ছ) বনজ ও প্রাণীজ কাঁচামাল স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও যথেষ্ট পশুপালন থেকে বনজ ও প্রাণীজ কাঁচামাল পাওয়া যায়।
(জ) উন্নত প্রযুক্তিঃ আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি শিল্পোন্নতির সহায়ক। এভাবেই হ্রদ অঞ্চল পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোন্নত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
উত্তর আমেরিকাকে নবীন বিশ্ব বলার কারণ কি ?
উ. উত্তর আমেরিকা মহাদেশের ভূখণ্ডটি আজ থেকে প্রায় ৫২২ বছর আগে প্রথম আবিষ্কার হয়। এই পৃথিবীর এই একটিমাত্র জনবহুল ও উন্নত মহাদেশ যা এত কম বছর আগে খুঁজে পাওয়া গেছে।
সেই হিসেবে এই মহাদেশ, তা উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে, তবুও বয়সে নবীন। তাই উত্তর আমেরিকাকে নবীন বিশ্ব বলা হয়।
- B.A.SR.M (FAZIL)
- Bengali
- Books
- Exam Result
- General Topics
- Geography
- History
- Holiday
- Islamic history
- Math
- Political science
- Theology
- প্রবন্ধ ও রচনা